কতটুকু নিতে পারছি মহাগ্রন্থ থেকে?

কোরআনুল কারীম মহান রাব্বুল আলামীনের ওহী, আমাদের নৈকট্য লাভের মাধ্যম, সকল আসমানী কিতাব সমূহের সারাংশ, সকল জ্ঞানের আধার, হিদায়তের মাধ্যম, রহমত এবং বরকতের ভান্ডার, অন্ধকার পথের পথ নির্দেশক ইত্যাদি। কতকিছুই না রয়েছে এই মহান গ্রন্থে। কিন্তু সেই মহাগ্রন্থ থেকে আমরা কতটুকু নিতে পারছি? কতটা কাজের লাগাতে পারছি এই মহাগ্রন্থ থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান?

এই পবিত্র গ্রন্থ আমাদের এমন এক বিশ্বস্ত সঙ্গী যা কিনা অন্তিম মুহুর্তেও কবরে এবং হাশরে আমাদের পাশে দাড়াবে। এই গ্রন্থে আমাদের জন্যে রয়েছে বিভিন্ন রোগের শিফা, জীবন চলার বিভিন্ন দিকনির্দেশনা।

সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো রোগাক্রান্ত মন যা কিনা অবিশ্বস্ততায় ভরা সে যদি এই গ্রন্থ নিয়মিত পাঠ করে তাহলে সে হিদায়ত প্রাপ্ত হয়, তার হৃদয় আল্লাহর শোকর গোজারে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। আজকাল মানুষ হতাশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকে কিন্তু কেউ যদি নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত করে তাহলে তার মধ্যে আর হতাশা কাজ করবে না।

মহান রাব্বুল আলামীন বলেন, “নিশ্চয় এই কুরআন ওই পথ দেখায়, যা সর্বাপেক্ষা সোজা।”

[সূরা বনী ইসরাঈল: আয়াত-৯]

অর্থাৎ নিয়মিত কোরআন পাঠকারী কখনও ভুল পথে যেতে পারেন না। তার জীবনই সফল যে এই কোরআনের পথ অনুসরণ করেন।

মহান রাব্বুল আলামীন আরও ইরশাদ করেন,” আর আমি আপনার উপর এই কুরআন অবতীর্ণ করেছি, যা প্রত্যেক বস্তুর সুস্পষ্ট বিবরণ, হিদায়াত, দয়া ও সুসংবাদ মুসলমানদের জন্য।”

[সূরা নাহল:আয়াত-৮৯]

কুরআন শরীফের এমন কিছু বর্ণনা এবং নিদর্শন রয়েছে যা কিনা কাফিরদের হেদায়াতের জন্যে যথেষ্ট। ঈমানদার ব্যক্তিদের জন্যে রয়েছে সুসংবাদ।

হাদিসে আছে রাসূল (সাঃ) বলেন, অতি শীঘ্রই একটি ফিতনা সৃষ্টি হবে। একজন জিজ্ঞেস করলেন, হে রাসূল (সাঃ) এর থেকে বাঁচার উপায় কি হবে? তিঁনি বলেন, আল্লাহ্ তাআলার কিতাব, যাতে তোমাদের পূববর্তী ও পরবর্তীদের জন্যে রয়েছে সুসংবাদ এবং তোমাদের পরস্পরের সিদ্ধান্ত রয়েছে, কুরআন হচ্ছে সিদ্ধান্ত প্রদানকারী এবং এটি কোন উপহাস নয়।

মহান রাব্বুল আলামীন তার অস্তিত্ববিলীন করে দিবেন যে অত্যাচারী একে ছেড়ে দেবে এবং যে তা ব্যতীত অন্য কোথাও হিদায়ত খুঁজবে আল্লাহ্ তাআলা তাকে পথভ্রষ্ট করে দেবেন।

এই কোরআন হলো মহান রাব্বুল আলামীনের শক্ত রশি এবং প্রজ্ঞাময় আলোচনাতা, সঠিক পথ। এই কিতাবের বরকতের কামনা-বাসনা কখনোই বিকৃত হয় না।

[জামে তিরমিযী, ৪/৪১৪, হাদীস নং-২৯১৫]

কেউ আজ পর্যন্ত চেষ্টা করে এই মহা গ্রন্থের ভুল ধরতে পারেনি,এই গ্রন্থ নির্ভুল। এছাড়া পৃথিবীতে যত গ্রন্থ আছে, যত গ্রন্থের আবির্ভাব হয়েছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত হয়ে থাকবে- কোনো গ্রন্থের গ্রন্থকারই তার গ্রন্থকে পরিপূর্ণ নির্ভুল দাবি করতে পারেননি এবং পারবেন না।

যেই কোরআনের এতকিছু রয়েছে, যা জেনে কত কত নাস্তিক আজ ইসলাম গ্রহণ করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে সেই মহাগ্রন্থ আমরা মুসলিম হয়ে নিয়মিত পড়ছি তো?

আমাদের উচিত নিজের ঈমানকে দঢ় কোরআন এবং সেই সাথে তাফসির নিয়মিত পড়া এবং জানা। তাহলে অনেক সমস্যা যা নিয়ে আমরা দিনের পর দিন ভুগি তার সমাধান খুঁজে পাবো, ইনশাআল্লাহ।

অনেকেই ভালো বই পাওয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন। আপনি যদি তেমনি একজন হয়ে থাকেন, তাহলে ভালো মানের ইসলামিক বইগুলো সহজেই পেতে যোগাযোগ করুন দারসুল হিকমাহ বুকস্টোরে। যেখানে পাবেন ইসলামিক ইতিহাস, সিরাহ, দাওয়াহ, কর্মপন্থা, উসুল, ইলম, আমল, আত্মশুদ্ধি সহ নানান ক্যাটাগরির ইসলামিক বই।

Main Menu